সবশেষ ছয় বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সেবার ইংলিশদের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে টাইগাররা। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে আগামীকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাটলারদের বিপক্ষে মাঠে নামবে তামিমরা। তবে এবার সিরিজ জিততে মরিয়া টাইগাররা।
দ্বিতীয় মেয়াদে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার পর চান্ডিকা হাথুরুসিংহের এটি প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট। হাথুরু কোচ হবার পর অনেকের প্রশ্ন কেমন হবে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ। ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ বছরে ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ২১টি ওয়ানডে খেলেছে। আর তাতে জয় মাত্র ৪টিতে।
সবশেষ জয় ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেবারও বাংলাদেশের কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার অধীনে পাওয়া সেই জয়ের পর তিনবারের দেখায় সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় মেয়াদের হাথুরুসিংহে ফেরার পর প্রথম সিরিজই পড়ছে ইংলিশদের বিপক্ষে।সপ্তাহখানেক ধরে শিষ্যদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন হাথুরু।
হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর একমাত্র দল হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের খেলার ধরন এতটাই কার্যকরী হয়েছে যে, যার সুবাদে বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
২০০৩ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১০ সালেও একই ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। সবশেষ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে। দলের হেড কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, আমি মনে করি গত কয়েক দিন ধরে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আমাদের একটি অনুশীলন ম্যাচ এবং ম্যাচের আদলে অনুশীলন সেশন ছিল।
খেলোয়াড়দের প্রতিশ্রুতিতে আমি খুবই মুগ্ধ। আমি মনে করি তারা খুব প্রস্তুত। আমরা যদি ইংল্যান্ডের মত খেলতে গেলে সেটা ঠিক হবেনা। তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। তবে আমরা আমরা ভাল ক্রিকেট, আমাদের সেরাটা খেলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, তাদের একটি দল অন্য জায়গায় খেলছে, এখানে আরেকটি দল খেলছে। তাদের প্রতিভার একটা গভীরতা আছে। আমরা দেখতে চাই, আমরা কোথায় আছি এবং লক্ষ্য পূরণে ভুলগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি এই কন্ডিশনে ভালো করতে পারি এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার বলেছেন, আমরা জানি এখানকার কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন হবে তবে আমরা ঠিক এটিই চাই। এটি এমন একটি চ্যালেঞ্জ, দল হিসাবে কঠিন কন্ডিশনে নিজেদেরকে পরীক্ষা করতে চাই। সম্ভবত ভারত ও এখানকার কন্ডিশন প্রায় একই রকম। এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে এবং এই সিরিজ নিয়ে আমরা অনেক বেশি রোমাঞ্চিত।
এদিকে বাংলাদেশের ওয়ানডে টপ অর্ডারে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। কোনো রকম ইনজুরি না থাকলে যারা নিয়োমিত একাদশ খেলে থাকে তারাই ঘুরে ফিরে থাকবে। তাই ওপেনিংয়ে দেখা যাবে ইনজুরি থেকে সরে উঠা ওয়ানডে অধিনায়ক দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। তার সাথে ওপেনিংয়ে থাকবে আরেক তারকা ব্যাটার লিটন দাস। তিন নম্বরে দেখা যাবে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।
নাম্বার চারে দেখা যাবে বাংলাদেশের মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিমকে। পাঁচে দেখা যেতে পারে মাহামুদউল্লাহ রিয়াকে। ৬ ও ৭ নম্বরে যথারীতি দেখা যাবে আফিফ ও মিরাজকে। আর যদি প্রথম ম্যাচে তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হয় তাহলে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাবে। পাঁচ নম্বর অথবা ৭ নম্বরে দেখা যেতে পারে তাকে।
স্পিনে যথারীতি বাংলাদেশের দুই সেরা অলরাউন্ডার সাকিব ও মিরাজ থাকবে এটা এক প্রকার নিশ্চিত। তার সাথে যদি একজন বাড়তি স্পিনার নেয়া হয় তাহলে একাদশে সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন তাইজুল ইসলাম। আর পেস বোলিং বিভাগ সমলাতে পারেন মুস্তাফিজ ও তাসকিন। স্পিনার বাদ দিয়ে বাড়তি এক জন পেসার খেলানো হয় তাহলে একাদশে সুযোগ পেয়ে যাবেন হাসান মাহামুদ।
টিএইচ