শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ইতিহাস গড়ে টেস্ট জয় টাইগারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতিহাস গড়ে টেস্ট জয় টাইগারদের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পাননি এবাদত হোসেন। এবার নাটকীয়তার পর সেই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারলেন না তাসকিন আহমেদ। তার বলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন জহির খান। ফলে মিরপুর টেস্টে ৫৪৬ রানে জিতেছে টাইগাররা, টেস্ট ক্রিকেটে যা রানের ব্যবধানে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়। 

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৬৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেটাও ৯৫ বছর আগে। ১৯২৮ সালে ব্রিসবেনে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়টা ৮৯ বছর আগে ইংল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার। ৫৬২ রানের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। ১৯১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৩০ রানে হারানোর ব্যবধানটা এতদিন ছিল তৃতীয়তে। সেটাই হটিয়ে এবার এ জায়গাটা নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।

এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮২ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ২৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এরপর ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ১১৫ রানে থেমে গেছে সফরকারীদের ইনিংস।

শনিবার (১৭ জুন) 'হোম অব ক্রিকেট' শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে ৪৫ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল আফগানিস্তান। তবে দিনের শুরুতেই টাইগার পেসারদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে মাত্র ১১৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানরা।

এদিন উইকেটের শুরুটা করেছিলেন আগের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেয়া পেসার এবাদত হোসেন। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ডানহাতি এই পেসারের অফ-স্ট্যাম্পের ওপর গুডলেংথে থাকা বলে খোঁচায় উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নাসির জামাল।

এরপর পর পর দুই ওভারে আফসার জাজাই ও বাসির শাহকে ফেরান শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের রাউন্ড দ্য উইকেট প্রান্ত থেকে করা বলে জাজাই স্লিপে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন। ফলে ব্যক্তিগত ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই উইকেটকিপার।

এরপর তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে ব্যাট কয়রা বাসিরকে ফেরান শরিফুল। এরপর বোলিং আক্রমণে আসেন তাসকিন। তার অফ স্টাম্পের একটু বাইরের লাইন, লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দেন রহমত। তাতে উইকেটের পিছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আফগানিস্তান হারিয়ে ফেলে ষষ্ঠ উইকেট।

এরপর করিম জানাতকে বোল্ড করেছেন তাসকিন। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা তার বলটি লেংথ থেকে ঢুকে যায় ভেতরের দিকে। করিম সে বলের নাগালই পাননি। যদিও ব্যাকফুটে গিয়ে সময় হারিয়েছেন। বলও প্রত্যাশামতো ওঠেনি। তাসকিন পেয়ে যান তৃতীয় উইকেটের দেখা। আর তাতেই সিরিজের একমাত্র টেস্টে ৫৪৬ রানের বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।

ইতিহাস গড়া জয়ের পথে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৯ ওভার বল ঘুরিয়ে ৩৭ রান খরচা করেন তিনি। এছাড়া ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। এবাদত হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

তাদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রহমত শাহ। ৭৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র দুটি চারে। এছাড়া করিম জানাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন।

টিএইচ