আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী দলগুলো এরইমধ্যে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে।
অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফুটবল আসর উপভোগ করতে কাতারে যাচ্ছেন লাখো ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু এর মধ্যেও এবারের বিশ্বকাপ ঘিরে বিতর্ক চলছেই। মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে মদ্যপান নিষিদ্ধ থাকার ইস্যু তো আছেই; এবার তাতে যোগ হয়েছে পোশাক ইস্যু।
জানা গেছে, কাতার মুসলিম দেশ হওয়ায় বিশ্বকাপ দেখতে আসা নারী সমর্থকদের মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মকানুন।
বিশ্বকাপে খোলামেলা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে পোশাক নিয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও, কাতারের মতো রক্ষণশীল দেশে ব্যাপারটা পুরোপুরি আলাদা। আর এ নিয়ম ভঙ্গ করলেই হতে পারে জেল।
কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া নারী ফুটবলপ্রেমীদের মানতে হবে নির্দিষ্ট পোশাক-বিধি। কারণ কাতারের আইন অনুযায়ী, নারীদের খোলামেলা পোশাক পরা নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপেও এ ব্যাপারে কড়াকড়ি থাকছে।
এমনকি স্টেডিয়ামে আবেগের বসে কিংবা আনন্দের আতিশয্যে গায়ের শার্টও খুলে ফেলা যাবে না। অবশ্য ফিফার নিয়ম বলছে, সমর্থকদের পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে; তবে আয়োজক দেশের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ নিয়ে নির্দেশনাও দেওয়া আছে।
শুধু পোশাক কেন, শূকরের মাংস, পর্ণ সামগ্রী কিংবা সেক্স টয় নিয়ে কাতারে ঢোকার চেষ্টা করলেও হবে কঠোর শাস্তি। মদ্যপান করতে চাইলে যেতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে। এর বাইরে রাস্তায় বা স্টেডিয়ামে মদ্যপান করলে পেতে হবে শাস্তি।
এক রাতের ‘অবৈধ’ যৌনমিলনের (ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড) জন্য হতে পারে সাত বছরের জেল। বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই দেখা যায় ম্যাচ শেষে রাতভর পার্টি। কিন্তু কাতারে তা নিষিদ্ধ। সমর্থকদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের কোনও আশা যেন না রাখা হয় এ বারের বিশ্বকাপে।
কাতার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী জুটি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌনমিলন করা যাবে না। এই প্রতিযোগিতায় ‘এক রাতের যৌনমিলন’ থাকবে না।
কোনও পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে। বিশ্বকাপে প্রথম বার এমন ভাবে যৌনমিলন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সমর্থকদের সতর্ক থাকতে হবে।
কাতার বিশ্বকাপের প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান জানান, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা থাকছে স্টেডিয়ামে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই দোষীকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
টিএইচ