গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দলের বড় প্রাপ্তি কী? উত্তরে হয়তো অনেকেই বলবেন পেস বোলারদের উন্নতি। এর মধ্যে তাসকিন আহমেদ আরও আলাদা। ২০১৯ বিশ্বকাপে বাদ পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, ওই ছবি হৃদয় কেড়েছিল অনেকের। এরপর থেকে তাসকিন নিজেকে বদলে ফেলেছেন আমূল।
তার ভাষায় ‘প্রসেস’ মেনে চালিয়ে গেছেন পরিশ্রম। আরেকটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে তাসকিন এখন পেস বোলিং বিভাগের নেতা। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ে কেঁদেছিলেন, এখন তাসকিনের মনে হয় ভালো হয়েছে সেটি। এরপর থেকেই নিজেকেই বদলে ফেলার মন্ত্র নিয়ে ছুটছেন তাসকিন। মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সেসবই বলছিলেন তিনি।
তাসকিন বলেন, ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকার স্বাদটা কখনোই আনন্দদায়ক নয়। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপ লাগে। ২০১৯ বিশ্বকাপে যখন বাদ পড়েছিলাম, ওই মুহুর্তটা খুব দুঃখজনক ছিল আমার জন্য। তবে এখন বুঝতে পারি, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তারপর নিজের ওয়ার্ক এথিকস, প্রসেস কিছুটা বদলেছে। যা আমার জন্য ক্রিকেটার হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো প্রসেসে আছি। এটাই একটা আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমি নিজের শতভাগ দিচ্ছি প্রসেসের ক্ষেত্রে।
তাই ভালো কিছু হবে আশা করছি। তাসকিনের জন্য বরাবরই বাধা হয়েছে ইনজুরি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্টের পর ওয়ানডেতেও খেলতে পারেননি। অনিশ্চয়তায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টও। তাসকিন অবশ্য বলছেন, নিরাদ হয়ে খেলা তার পক্ষে সম্ভব না।
তিনি বলেন, গা বাঁচিয়ে খেলা আমার জন্য সম্ভব নয়। বল হাতে নিয়ে খেলতে নামলে এটা মাথায় থাকেই না যে কীভাবে নিরাপদে খেলা যায়। আরও তো আমি পেস বোলার। লাল-সবুজের হয়ে খেলাটা অনেক গর্বের একটা ব্যাপার। শুধু এটা না, ক্রিকেটটাই আসলে। তো যখন খেলতে নামি, মাথায় এটা থাকে না যে সামনে বড় ইভেন্ট আছে না কী আছে। আল্লাহ্ যাতে সুস্থ রাখেন, এটাই সবসময় দোয়া করি।
টিএইচ