১০.৩ ওভার, ৭৩ রান, ১ উইকেট। এক সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল এমন। সেটিই ২০ ওভার শেষে গিয়ে দাঁড়াল ৮ উইকেটে ১২৭ রানে। লিটন শুরুতে ফিরলেও নাজমুল ও সৌম্যর জুটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ভালো একটা ভিতই। শাদাব খানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এরপর ক্যাচ দেন সৌম্য, ঠিক পরের বলেই আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফিরতে হয় সাকিবকে।
অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ পথ হারায় এরপর। শেষ ৯.৩ ওভারে ৫৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাদাবের পর বাংলাদেশের বড় ক্ষতিটা করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ২২ রানে ৪ উইকেট নেন এ পেসার।
হারিস রউফের করা শেষ ওভারে আফিফের পর চার মেরেছেন নাসুম আহমেদ। তবে পঞ্চম বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েছেন নাসুম।
প্রথম ওভারে মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। চতুর্থ বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছেন নাজমুল, তবে পয়েন্ট দিয়ে হয়েছে চার। পরের বলে আবার আউটসাইড-এজ হয়ে উঠেছিল বল, তবে ফিল্ডারের নাগালের বাইরে ছিল তা। শেষ বলে ফুললেংথে পেয়ে ড্রাইভ করেছিলেন, তবে ডাইভ দেওয়া আফ্রিদিকে পরাস্ত করতে পারেনি সে শট। প্রথম ওভারে উঠেছে ৬ রান।
লিটনের উইকেট, নাজমুলের জীবন, সৌম্যর টাইমিংয়ের আভাস—পাওয়ারপ্লের হাইলাইটস। নাজমুল টিকে আছেন ২০ বলে ২১ রান করে। পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করেছেন পাকিস্তানের চার পেসারই। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফিরতে হলো সাকিবকে
সামনে এসে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। শাদাবের ফুললেংথের বলে বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডব্লু দিয়েছেন আড্রিয়ান হোল্ডস্টক। সেটিও বেশ খানিকটা সময় নিয়ে। সাকিব রিভিউ করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই।
সাকিবের বুটে বল লাগার আগে আল্ট্রা এজে স্পাইক ছিল। তবে টেলিভিশন আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে বলেছেন, সে স্পাইক ব্যাট মাটিতে লাগার কারণে। যে ফ্রেমে স্পাইক প্রথম দেখা গেছে, বল তখনো ব্যাটের পাশে যায়নি বলে সিদ্ধান্ত তাঁর। ইমপ্যাক্টও ছিল ৩ মিটারের বাইরে।
ফিরতে গিয়ে আবার আম্পায়ারের কাছে ফিরে আলোচনা করেছেন সাকিব। তবে ফিরতেই হয়েছে তাঁকে। পরপর ২ বলে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফিফ এসে অবশ্য হ্যাটট্রিক হতে দেননি।
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবাদত হোসেন।
ইএফ